যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইতালি, ব্রিটেন কিংবা পাকিস্তান পর্যন্ত, এক কথায় বিশ্বজুড়ে নারী রাজনীতিবিদরা ক্রমবর্ধমানভাবে এআই-জেনারেটেড ডিপফেক পর্নোগ্রাফি বা ভুয়া যৌনতাপূর্ণ চিত্রের শিকার হচ্ছেন। নারী রাজনীতিবিদদের জন্য এটি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এএফপি প্রতিবেদন সূত্রে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে জনজীবনে বা স্বাভাবিক জীবনে নারীদের অংশগ্রহণ হুমকির মুখে ফেলেছে৷
এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামগুলো বিস্তারের পাশাপাশি ডিজিটাল ফটো অ্যাপগুলো এর জন্য দায়ী। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে নারীদের পোশাক খোলে দেয়। আর এসব অ-সম্মতিমূলক ডিপফেকের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা করছে।
গবেষকরা বলছেন, এসব চিত্র জনসাধারণের সামনে নারীদের সুনামকে কলঙ্কিত করছে। এছাড়া তাদের কেরিয়ারকে বিপন্ন করার জন্য, জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং ব্ল্যাকমেল বা হয়রানির মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে এটিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে একটি ডিসইনফরমেশন রিসার্চ গ্রুপ ‘আমেরিকান সানলাইট প্রজেক্ট’ পর্নোগ্রাফিক সাইটজুড়ে কংগ্রেসের ২৬ জন সদস্যকে চিত্রিত করে ডিপফেক সামগ্রীর ৩৫ হাজারেরও বেশি ঘটনা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে ২৫ জনই নারী।

গত মাসে সংস্থাটির প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কংগ্রেসের ছয়জনের মধ্যে একজন নারী এই ধরনের এআই-দিয়ে তৈরি চিত্রের শিকার হয়েছেন।
এএসপি’র প্রধান নির্বাহী নিনা জানকোভিজ বলেন, নারী আইনপ্রণেতারা এআই-জেনারেটেড ডিপফেক পর্নোগ্রাফি দ্বারা উদ্বেগজনক হারে লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন। এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়, এটি নেতৃত্ব এবং গণতন্ত্রে নারীদের উপর সরাসরি আক্রমণও বটে।
এএসপি ছবিতে চিত্রিত ভূক্তভোগী নারী আইনপ্রণেতাদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে তাদের অফিসগুলোতে ব্যক্তিগতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।