এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দেশটির নতুন পারমাণবিক নীতিতে অনুমোদন দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর কোনো প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে, বিশেষত যদি সেটি কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থনে হয়, তাহলে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই নতুন নীতি রাশিয়ার বিদ্যমান পারমাণবিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, ড্রোন, প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্যান্য সামরিক বিমানের মাধ্যমে চালানো কোনো হামলাও রাশিয়ার পারমাণবিক জবাবের শর্ত পূরণ করতে পারে। একইসঙ্গে, কোনো জোটের সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর আগ্রাসন চালালে, সেটিকে পুরো জোটের পক্ষ থেকে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করবে মস্কো।
এ পরিবর্তন এমন এক সময় এলো, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ ২ বছর ৬ মাস অতিক্রম করেছে এবং রাশিয়া-পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে উত্তেজনা ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল সংকটের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।