এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিল জাহান ইসলাম তামিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ (উপাচার্যের কার্যালয়) এর সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। চুয়েট প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপাচার্যের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম সাদিকুল ইসলাম, চুয়েট কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, চুয়েট কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য দেন পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত।
সঞ্চালনা করেন চুয়েটের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্যের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল বলেন, ‘চুয়েটের সাবেক ছাত্র তামিমের হত্যা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটি নির্মম অপরাধ। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানাই যাতে ভবিষ্যতে চুয়েট পরিবারের কারও সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক সুলতান আহমেদের ছেলে ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ভাগাভাগি নিয়ে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়।
ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক সুলতান আহমেদ প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ (প্রা.) লিমিটেড নামে একটি আবাসন নির্মাণ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে জমির মালিকদের ফ্ল্যাটের অংশ বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে জমির মালিকদের ও কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
প্রাথমিক তদন্তে আবাসন প্রতিষ্ঠান প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্ণধার ও বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলম রবি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মামুনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।