আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে চাকরিচ্যুতির খবর আসতে থাকে বিভিন্ন সমিতিতে। গতকাল সকালে নেত্রকোনা জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনির হোসেনকে চাকরিচ্যুতির পর আটক করে বারহাট্টা থানায় নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যেই নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মচারীরা। এরপর একের পর এক জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ হতে থাকে। বিকেলের দিকে আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন রাজন কুমার দাশকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদাপোশাকের লোকজন নিয়ে যান।
সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের সংগঠকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই তাঁদের সঙ্গে বসে ন্যায্য দাবির বিষয়ে আলোচনা হবে, এটি রোববারও হতে পারে। তাঁরা ইতিমধ্যে আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল ৩৩ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে নেত্রকোনা, ঢাকার আশপাশের উপজেলা, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাগুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝালকাঠি, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, বাগেরহাট, হবিগঞ্জ, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, রাজবাড়ী, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, পাবনা, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর ও যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
অবশ্য গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ২০টি জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার খবর পাওয়া গেছে।