বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অভিজ্ঞ পরিচালক খালেদ মাহমুদ হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন, যা দেশের ক্রিকেট মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রায় ১২ বছর ধরে বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা এই সাবেক অধিনায়ক, নানা বিতর্ক ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও বোর্ডের অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যদিও তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু ভেতরের দ্বন্দ্ব ও বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের সংস্কার নীতি তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিসিবির পরিচালক থাকা অবস্থায় খালেদ মাহমুদ বিভিন্ন ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা বিসিবির নীতিমালার পরিপন্থী ছিল এবং ‘স্বার্থের সংঘাত’ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মাঠে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও, তিনি একাধিক দায়িত্ব পালন করে বিসিবি থেকে মোটা অঙ্কের সম্মানী নিয়েছেন। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি হোম সিরিজে দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করে তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন।
সম্পর্কিত
ফারুক আহমেদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিনি বিসিবিতে স্বার্থের সংঘাতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন, যা মাহমুদের কোচিং ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এসব কারণে বোর্ড থেকে সরে যাওয়াটা ছিল তার জন্য স্বাভাবিক পরিণতি।