Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 ) Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 ) Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 ) Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 ) Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 ) Array ( [pa_condition_page_b9037c8] => [pa_condition_post_type_2fff4ba] => 1 )

আনোয়ার হোসেন: বাংলা চলচ্চিত্রের ‘নবাব’ যিনি সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছেন – আনন্দ আলো

আনোয়ার হোসেন: বাংলা চলচ্চিত্রের ‘নবাব’ যিনি সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছেন – আনন্দ আলো

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ৮২ বছর বয়সে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৩৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই মহান অভিনেতা ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে নবাব সিরাজের ভূমিকায় অভিনয় করে পেয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার ‘নবাব’ খেতাব।

আনোয়ার হোসেনের অভিনীত ছবিগুলো শুধু বিনোদনমূলক ছিল না, এতে সমাজের বাস্তব চিত্র, মানবিকতা এবং দেশপ্রেমের স্পষ্ট বার্তাও ছিল। তাঁর কর্মজীবন ছিল অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়—ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পারিবারিক গল্পের ছবিতে তাঁর অভিনয় দক্ষতা ছিল চমকপ্রদ। বিশেষ করে ‘সূর্যস্নান’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘জয় বাংলা’, ‘লাঠিয়াল’, ‘পালঙ্ক’ ও ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিগুলোর জন্য তিনি আজও স্মরণীয়।

তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন একুশে পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করে। তবে সময়ের পরিক্রমায় এই মহান অভিনেতাকে যেন ভুলে যেতে বসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গন।

আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে, আনোয়ার হোসেনের কাজ ও অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য চলচ্চিত্র জগতের সক্রিয় উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। তাঁর মতো শিল্পীর কর্ম ও প্রতিভা আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।

Scroll to Top