এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত হওয়ার পর লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সব সীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। পাল্টাপাল্টি এ হুমকির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরও বেড়েছে।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার লেবাননের জেজিন শহরের মাহমুদিহ, কাসর আল-আরুশ ও বিরকেট জাব্বুর এলাকায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই লেবাননে সবচেয়ে বেশি বিমান হামলার ঘটনা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দেশটির বিমানবাহিনী লেবাননে প্রায় ১০০টি রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় হতাহতের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহের মধ্যে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি বিমান ও রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে।
হিজবুল্লাহর হামলার কারণে লেবাননের সীমান্তবর্তী নিজেদের উত্তরাঞ্চল থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। এখন তাদের নিজ বাসস্থানে ফেরত পাঠাতে চায় দেশটি। অঞ্চলটিতে হামলা চালানো হবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এমন নিশ্চয়তা চায় ইসরায়েল। কিন্তু গাজা যুদ্ধ বন্ধ না হলে সেখানে হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
গত মঙ্গল ও বুধবার লেবানন ও সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা তারহীন যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত ও প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হন। ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে এসব বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ। তবে এসব বিস্ফোরণ নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি ইসরায়েল।
বিস্ফোরণ নিয়ে এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে লেবাননের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননে পৌঁছার আগেই তারহীন যোগাযোগ যন্ত্রগুলোতে বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছিল। পেজার ও হাতে ব্যবহারের রেডিওসহ এসব যন্ত্র বৈদ্যুতিক বার্তার সাহায্যে বিস্ফোরণ করা হয়েছিল।