নিকোলাস ড্রামন্ড বলেন, ‘আমি বুঝি, ইউক্রেনের থার্মাইট প্রভাব দেওয়ার সীমিত ক্ষমতা আছে। তাই একে মূলধারার অস্ত্রের পরিবর্তে একটি বিশেষ ক্ষমতা বলা যেতে পারে।’ তবে তিনি থার্মাইটের ফলে সৃষ্ট ভীতির কথা স্বীকার করেন।
থার্মাইট যেকোনো জিনিস খুব সহজেই পোড়াতে পারে। যেকোনো ধাতব পদার্থও এটি পুড়িয়ে দেয়। এ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
জার্মানির একজন রসায়নবিদ ১৮৯০ সালে থার্মাইট আবিষ্কার করেন। এটি রেলপথ ঢালাই করতে ব্যবহার করা হতো; কিন্তু পরে সামরিক কাজেও ব্যবহার শুরু হয়। মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা হিসেবে থার্মাইট ব্যবহার করত জার্মানরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও জার্মানি ও তার মিত্ররা বোমা হিসেবে থার্মাইট ব্যবহার করে শত্রুদের অস্ত্র গলিয়ে ফেলত। যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিরোধী সংস্থা অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্সের (এওএভি) মতে, এ আগে রুশ ট্যাঙ্ক অচল করার কাজে থার্মাইট ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইউক্রেন। থার্মাইটের নিখুঁত ক্ষমতা ও প্রচলিত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এড়ানোর মতো ড্রোনের ক্ষমতা একসঙ্গে যুক্ত হওয়ায় থার্মাইট বোমাকে আধুনিক যুদ্ধে একটি অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার করে তুলেছে।