এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবিলম্বে তা মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।
শনিবার (৩ আগষ্ট) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে জাতীয় পার্টি তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায় এবং তা মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানায়। সেই সাথে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিগত বাজেট অধিবেশনে কোটা সংস্কারের পক্ষে বিশদভাবে বক্তব্য রেখে কোটা সংস্কার এর প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রাথমিকভাবে মেনে না নিয়ে ছাত্রলীগ দিয়ে বলপূর্বক আন্দোলন দমানোর উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের হাতে ২৭০ জনেরও বেশি নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা প্রাণ হারায়। আহত হন দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা করে পরে সেই মামলায় ছাত্র-জনতাকেই আসামী করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে রাখে। হেফাজতের নামে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয় সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়। যা কোনো আইনেই সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের উপর নির্যাতন করা হবে না বলা হলেও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলি, স্বয়ংক্রীয় অস্ত্রের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, বহুতল ভবন এবং হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে ছাত্রদের উপর আক্রমন করে যা এখনো চলমান। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ বিশ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি এ আন্দোলনে গ্রেপ্তার সব ছাত্র জনতার মুক্তি দাবি করে।