যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা, পুলিশের তদন্তে অনীহা

যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা, পুলিশের তদন্তে অনীহা

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

যুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াকির উইসকনসিন হোটেলে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে গত মাসে খুন হন ডভনটেয় মিচেল (৪৩)। ঘটনার বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেলে তদন্তে অনীহা দেখাচ্ছে পুলিশ। 

সিএনএন জানিয়েছে, মিচেল পরিবারের অ্যাটর্নি বেন ক্রাম্পের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪৩ বছর বয়সী ডভনটেয় মিচেল ৩০ জুন মিলওয়াকির ডাউনটাউন হায়াত রিজেন্সিতে ছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, তিনি সেখানে ‘ঝামেলা’ করায় নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে হোটেল থেকে বের করে দেয়।

বেন ক্রাম্প বলেছেন, মিলওয়াকি পুলিশ ঘটনাটিকে ফৌজদারি তদন্ত হিসেবে বিবেচনা করছে না কারণ এর কোনও প্রমাণ নেই। অথচ মেডিকেল পরীক্ষক এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচনা করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওর অংশে দেখা যাচ্ছে যে, চার নিরাপত্তারক্ষী মিচেলকে মাটিতে ফেলে শক্ত করে ধরে রেখেছে। ভিডিওতে মিচেলকে রক্ষীদের কাছে অনুরোধ করতে শোনা যায় যে, ‘দয়া করে আমাকে ছেঁড়ে দিন ,আমি দুঃখিত।’ এসময় একজন নিরাপত্তারক্ষী মিচেলকে চুপ থাকতে বলে এবং বাকিরা তখন মিচেলকে চেপে ধরে ছিলেন। অন্য একজন তখন বলছিলেন, নারীদের কক্ষে গেলে এমনটাই নয়।

নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে মিচেলের সংঘর্ষের কারণ কী, পুলিশ অফিসারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কতক্ষণ সময় লেগেছিল এবং মিচেল হোটেলে কী করছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যখন পুলিস এসে পৌছায় তখন তখন মিচেলের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না এবং কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মিলওয়াকি কাউন্টি মেডিকেলের কারেন ডোমাগালস্কি বলেন, মিচেলের মৃত্যুটিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তবে চূড়ান্ত কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।

মিচেলের স্ত্রী ডিএশিয়া হারমন বলেছেন, সন্তানরা যখনই টিভি চালু করে, তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয় কীভাবে তাদের বাবা মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তার ভয়ে দোকানেও যেতে পারি না। আমার মেয়ে বলে, সব নিরাপত্তারক্ষীরাই কী খারাপ নাকি শুধু আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা।

হায়াতের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত নিরাপত্তারক্ষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে। হায়াত রিজেন্সি এখনও ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি বলেছেন, আমরা মিচেলের পরিবার, যারা তাকে জানতেন এবং ভালোবাসতেন এবং মিলওয়াকি সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

Scroll to Top