ফিচার ডেস্ক
এখন লেবুর সময়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিস সি’র উৎস হিসেবে লেবুর গ্রহণযোগ্যতা অসীম। কাঁচাবাজারে অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা বাড়তি হলেও লেবুর দাম এই সময়ে হাতের নাগালে থাকে। আর তাই অধিকাংশেই বাজারে গেলে অন্তত ডজনখানেক লেবু তো একসঙ্গে কিনেই থাকেন।
বাজারে খুচরা কিনলে লেবুর দাম কিছুটা বেশি পড়ে সত্যি। কিন্তু এই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে লেবুর বেশি দামের সময়েও রান্না অথবা সালাদে চট করে খানিকটা লেবুর ফ্লেভার যোগ করে দিতে চাইলে ফ্রিজ থেকে বের করে নিন লেবু। একবারে বেশি করে কিনে ৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন লেবু। তবে অনেকেই লেবু সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি জানেন না। তবে জেনে নিন লেবু সংরক্ষণের কৌশল-
১. লেবু সংরক্ষণ করার সবচেয়ে ভালো এবং প্রচলিত উপায় হলো ফ্রিজে রাখা। ফ্রিজে লেবু এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
তবে বেশিদিন ফ্রিজে রাখতে চাইলে জিপলক ব্যাগে আস্ত লেবু ঢুকিয়ে এক পাশে একটি স্ট্র রেখে পুরো ব্যাগ সিল করে দিন। এবার স্ট্র দিয়ে ভেতরে থাকা অবশিষ্ট বাতাস বের করে দিন। ব্যাগ ঢুকিয়ে রাখুন ফ্রিজে। এই প্রক্রিয়ায় ১ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে লেবু।
যদি অর্ধেক কাটা লেবু সংরক্ষণ করতে চান তবে তা খাবার পেঁচানোর প্যাকেটে রাখুন। তবে তা অবশ্যই কয়েকদিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
২. লেবুর রস সংরক্ষণ করতে পারেন বরফ জমানোর ট্রেতে। লেবুর রস কিন্তু ফ্রিজে বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। কয়েকদিন পরে তা রান্না অথবা বেইক করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটা তাজা লেবুর শরবত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
চটজলদি শরবত করে খেতে চাইলে লেবুর রস বরফের কিউব করেও রাখতে পারেন।
৩. লেবু ছোট টুকরা করে বরফ জমানোর ট্রেতে রাখুন। ট্রেতে পানি ভরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যবহারের আগে বরফ গলিয়ে নিন। এভাবে ৩ মাস পর্যন্ত তাজা থাকবে লেবু।
৪. লেবু চার টুকরা করে কাটুন। পাতলা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে জিপলক ব্যাগে রাখুন লেবুর টুকরা। এভাবেও ৩ মাস ভালো থাকবে লেবু।
৫. লেবু সংরক্ষণ করার আরেকটি সহজ উপায় হলো একটি কাচের বড় পাত্রে পানি দিয়ে তার মধ্যে সব লেবু ফ্রিজে রাখা। এই প্রক্রিয়ায় একটি কাঁচের বয়ামে আস্ত লেবু রাখুন। বয়াম পানি ভর্তি করে মুখ লাগিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সতেজ থাকবে লেবু।
৬. লেবু এথেলিন এর ক্ষেত্রে সংবেদশীল। তাই এথেলিন উৎপন্ন হয় এমন ফল যেমন- অ্যাপ্রিকটস, আপেল, কলা ইত্যাদি থেকে দূরে রাখুন।
সারাবাংলা/এসবিডিই