সাউথ কোরিয়ায় জনপ্রিয় ‘কিমচি’ খেয়ে অসুস্থ এক হাজারের বেশি মানুষ | চ্যানেল আই অনলাইন

সাউথ কোরিয়ায় জনপ্রিয় ‘কিমচি’ খেয়ে অসুস্থ এক হাজারের বেশি মানুষ | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

সাউথ কোরিয়ায় জনপ্রিয় গাঁজনযুক্ত বাঁধাকপির খাবার ‘কিমচি’ খেয়ে অন্তত এক হাজার ২৪ জন অসুস্থ হয়েছেন। মূলত খাবারের সাথে নোরোভাইরাস যুক্ত হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৭ জুলাই) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নোরোভাইরাসযুক্ত দূষিত কিমচি খেয়ে বিষক্রিয়ায় ভুগছেন সাউথ কোরিয়ার সহস্রাধিক মানুষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে নামওয়ান শহরের কর্মকর্তারা শুক্রবার সকালে বলেন, সেখানে অন্তত ৯৯৬ জন রোগী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, শনিবার বিকেলের দিকে এই সংখ্যা এক হাজার ২৪ এ পৌঁছেছে।

কিমচি হলো একটি ঐতিহ্যবাহী কোরীয় খাবার, যা ফারমেন্ট করা সবজি, যেমন বাঁধাকপি, মুলা ও সবুজ পেঁয়াজ, লবন, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং মরিচসহ বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, জনপ্রিয় খাবারটি শহরের স্কুলে খাবারের সাথে বিতরণ করা হয়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন স্কুলের শিক্ষার্থী কিংবা স্কুলের কর্মী রয়েছেন।

নোরোভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ। এটি দূষিত কিছুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন, টয়লেটের ফ্লাশ হ্যান্ডেলের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

যদিও এই সংক্রমণে আক্রান্তদের বেশিরভাগের হাসপাতালের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।  কয়েক দিনের মধ্যে এমনিতেই সুস্থ হয়ে উঠেন তারা। কিন্তু কেউ কেউ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

শহরের কর্মকর্তারা বলেন, প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর দিন বুধবার রোগের উৎস অনুসন্ধান শুরু হয়। ওই দিন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩ থাকলেও বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪৫ জনে। এরপর এ সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।

সিটি মেয়র চোই কিউং-সিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই রোগটির বিস্তার রোধে অতিরিক্ত কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।

শহরের কর্মকর্তারা বলেন, রোগী ও তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার নমুনা এবং স্কুলে বিতরণ করা কিমচিতে নোরোভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ কারণে দুর্যোগ ও নিরাপত্তা বিভাগ কিমচি তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে বিতরণ করা পণ্যগুলোও ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কিমচি উৎপাদন করা প্রতিষ্ঠানটির নাম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

Scroll to Top