ঢাকা, ০৮ মে – সারাবিশ্ব থেকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। আর বাংলাদেশে এই টিকা নেয়াদের মধ্যে কোনা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক এ কোম্পানিটি তাদের তৈরি করা টিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপরই বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি ডিজি হেলথকে নির্দেশ দিয়েছি। যাদেরকে এই টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের ওপর সার্ভে করে আমাকে প্রতিবেদন দেবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রমাণ না পাবো, ততক্ষণ আমরা এ টিকা উঠিয়ে নেব না।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অক্সফোর্ডের সঙ্গে গবেষণা করে ‘কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া’ নামে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক দুটি টিকা বানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
মহামারির মধ্যে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এই কোম্পানির টিকা সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়। কিন্তু ‘কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া’র বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়, দেখা দেয় বিতর্ক।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টিকাটি ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এরপর প্রথম টিকা দেয়া হয় ২০২১ সালের চার জানুয়ারি।
এদিকে, ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনো সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা ইতোমধ্যে করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৮ মে ২০২৪