এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
নিজের শরীরে এইচআইভি পজিটিভ জেনেও বালক কিংবা বয়স্ক পুরুষদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন ৩৪ বছর বয়সী মার্কিন যুবক আলেকজান্ডার লুই। অন্যদের শরীরে এইচআইভি ছড়িয়ে দেওয়ায় ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ৮ মে সিবিসি নিউজ সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, লুই ১৬ বছর বয়সী যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী অন্তত ৫০ জন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি অনলাইন সেক্সসুয়াল আলোচনার সূত্র ধরে গত আগস্ট থেকে লুইকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। লুই জানতেন তিনি যার সাথে অনলাইনে আলোচনা করছেন তার বয়স ১৫ বছর। মূলত তিনি ছিলেন একজন গোয়েন্দা।
দুজন দীর্ঘদিন আলোচনার পর তারা বউসিতে লুই এর বাসায় দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। অনলাইনে আলোচনায় সেই কিশোরকে একাধিক খোলামেলা ছবি এবং ভিডিও পাঠান লুই।
পরের মাস অর্থ্যাৎ গত বছরের সেপ্টম্বরে ওই কিশোরকে দেওয়া নির্ধারিত বাসায় গেলে ‘শিশুকে অনৈতিক কাজে’ প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগে লুইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আইনজীবী বলেন, গোয়েন্দা ওই ব্যক্তি সম্পর্কে লুই না জেনে অনলাইনে আলোচনা করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, কিশোরের বয়স ১৫ বছর এবং তাকে যৌন সম্পর্কের প্রতি প্রলোভন দেখাতে তাকে। একপর্যায়ে লুইকে প্রমাণসহ গ্রেপ্তার করতে সফল হয় পুলিশ।
তিনি বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, লুই এইচআইভি আক্রন্ত বিষয়টি কারও সাথে শেয়ার করেননি। এমনকি পরিবারের সাথেও না। তিনি অন্যের শরীরে এটি ছড়িয়ে দেয়ার মনস্থির করেন। এই উদ্দেশ্য থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৫০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষের সাথে মিলন হয় তার। এদের মধ্যে ১৬ বছরের যুবকও রয়েছে।
এছাড়া এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার পর ডাক্তারের দেওয়া পরমার্শ মোতাবেক ওষুধ গ্রহণ করেননি লুই।