চট্টগ্রাম, ০৩ মে – ৪১ রানে ছিল না ৭ উইকেট। মনে হচ্ছিল, টাইগার বোলারদের তোপে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো সফরকারীরা।
বিপর্যয় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রান তুলে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৫।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন শরিফুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন শান্ত। শেখ মেহেদী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে দেরি করেননি। নিজের দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত এক টার্নিং ডেলিভারিতে অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিনকে (০) বোল্ড করেন এই অফস্পিনার। আরভিন ডিফেন্ড করেও উইকেট বাঁচাতে পারেননি।
পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রায় ১৯ মাস পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান। লেগসাইডের বল ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন অভিষিক্ত জয়লর্ড গাম্বি (১৪ বলে ১৭)।
শেখ মেহেদীর করা পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম বলে রানআউট হন ব্রায়ান বেনেট (১৫ বলে ১৬)। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি।
পরের বলে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (০) প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে হন টার্নে পরাস্ত। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে লিটন দাসের হাতে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
সপ্তম ওভারে এসে আবার তাসকিন টানা দুই বলে করেন দুই শিকার। ব্যাটে লেগে ইনসাইডেজে বোল্ড হন শন উইলিয়ামস (০)। পরের বলে রায়ান বার্ল (০) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদকে ক্যাচ দেন। লুক জঙউইকে (২) তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ক্লিভ মাদান্দে আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। অষ্টম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রান যোগ করে জিম্বাবুয়েকে সম্মানজক পুঁজি এনে দিয়েছেন এই যুগল।
শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে মাদান্দেকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটার করেন ৩৯ বলে লড়াকু ৪৩। শেষ বলে রানআউট হওয়া মাসাকাদজা ৩৮ বলে করেন ৩৪।
সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ১৫ আর তাসকিন সমান ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩টি করে উইকেট। ১৬ রানে ২ উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদী। ভালো করতে পারেননি শরিফুল ইসলাম আর রিশাদ হোসেন। দুজনই ৪ ওভারে ৩৭ করে রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৩ মে ২০২৪