বিএনপি-জামায়াত দেশে নব হানাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে, গ্রামে গ্রামে ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
শনিবার ১৬ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিজয় র্যালির উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আজকে নিরীহ মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ করছে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, গাড়ি-ঘোড়ায় আগুন দিচ্ছে, এমনকি ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের ব্রিজ কালভার্ট উড়িয়ে দিয়েছিল পরাজয়ের আগে, ঠিক একইভাবে নব হানাদার হিসেবে বিএনপি-জামায়াত আজ আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য জামায়াত ইসলাম যে দল দেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং সেটি না চাওয়ার জন্য এখনও ক্ষমা চায়নি। সেই দল এখনও রাজনীতি করে এবং তাদের সঙ্গে জোট গঠন করে বিএনপি ও তার মিত্ররা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে পাকিস্তান আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। যখন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তখন পাকিস্তানের অনেকে আত্মতৃপ্তির জন্য বলেছে, বাঙালিরা চলে গেছে ভালো হয়েছে। আজকে পাকিস্তানিরা বলে, দয়া করে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। এখানেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গঠন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার সার্থকতা। আমরা অর্থনৈতিক সূচক, মানব উন্নয়ন সূচক, সামজিক সূচক, স্বাস্থ্য সূচকসহ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। আমরা ভারতকেও সামজিক সূচক, মানব উন্নয়ন সূচকে, স্বাস্থ্য সূচকে পেছনে ফেলেছি। জিডিপিতে ২০২১ সালে আমরা ভারতকে পেছনে ফেলেছিলাম।
বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পৃথিবীর ৯১তম দেশ। কিন্তু আমরা ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে পৃথিবীতে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে পৃথিবীতে সপ্তম। এগুলো কোনো জাদুর কারণে হয়নি। এগুলো হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। আমাদের এ অগ্রযাত্রা আরও অনেক দূর হতে পারতো যদি বাংলাদেশে নেতিবাচক রাজনীতি, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না থাকতো। এই দু’টি বিষয় না থাকলে আজকে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের যেভাবে পেটানো হয়েছে আমি তার ধিক্কার জানাই। আপনারা (সাংবাদিক) বিচারের কথা বলেছেন, প্রত্যেকের বিচার হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রত্যেকের বিচার হচ্ছে, রায় হচ্ছে।
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, মানিক লাল ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ।