আরব সাগরে মাল্টার জাহাজ ছিনতাই, উদ্ধারে অভিযান চলছে | চ্যানেল আই অনলাইন

আরব সাগরে মাল্টার জাহাজ ছিনতাই, উদ্ধারে অভিযান চলছে | চ্যানেল আই অনলাইন

আরব সাগরে গতকাল শুক্রবার মাল্টার একটি জাহাজ ছিনতাই হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ১৮ জন নাবিক সেই জাহাজে আছেন। সোমালিয়ার জলদস্যুরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী এই ছিনতায়ের খবর পেয়ে সাথে সাথে তৎপর হয়ে উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অপহৃত জাহাজটিকে উদ্ধার করার অভিযান চলছে।

Bkash

মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি রয়েন’ নামক জাহাজটি শুক্রবার বিকেল নাগাদ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল। সেই সময় জাহাজটি ছিল আরব সাগরে। আর ভারতীয় জলদস্যু বিরোধী জাহাজও ছিল কাছাকাছির মধ্যে। সেই জাহাজের থেকে একটি প্যাট্রোল বিমান গোটা এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল। তখন সেই বিমানের নজরে পড়ে এই ছিনতাই হয়ে যাওয়া জাহাজটি।

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে জানানো হয়, ছিনতায়ের খবর পেয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এবং নজরদারি বিমান সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়। জাহাজটিকে উদ্ধার করার অপারেশন এখনও চলছে। অন্যদিকে মাল্টার জাহাজের আবেদন শুনে স্প্যানিশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজও সেই অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছেছে।

Reneta JuneReneta June

জানা যায়, সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ‘পান্টল্যান্ড’-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জাহাজটিকে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ার মাঝে অবস্থিত এডেন উপসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা ছিল ভারতের একটি রণতরী। সেটিকে সেখান থেকে সরে গিয়ে মাল্টার অপহৃত জাহাজটিকে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় প্যাট্রোল বিমান গতকাল অপহৃত জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। সেই জাহাজের ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাহাজ ছিনতাই প্রতিরোধকারী প্রতিষ্ঠানের সেন্টারেও পৌঁছেছে মাল্টার সাহায্যের আবেদন। স্পেনের একটি জাহাজ সেই অপহৃত ভেসেলের দিকে এগোচ্ছে। জানা গিয়েছে, সোমালিয়া থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সোকোট্রা দ্বীপের থেকে ৫০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে অবস্থান করছিল মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি রয়েন’ নামক জাহাজটি।

জানা যায়, জাহাজটি অপহরণের নেপথ্যে রয়েছে ৬ জলদস্যু। ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাম্বরে জানিয়েছে, ‘এমভি রয়েন’ নামক জাহাজটি জলদস্যুদের হাতেই অপহৃত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনও দাবিদাওয়া সামনে রাখেনি। তবে একবার তারা নিজেদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে গেলে দাবি সামনে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Scroll to Top