ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
যে রাতটি লাইলাতুল কদর হবে সেটা চেনার কিছু আলামত বা কিছু নিদর্শনের কথা বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও ইবনে খুমাইমাসহ বিভিন্ন হাদীসের গ্রন্থে এ রাতের মোট ১০টি আলামত বা নিদর্শনের কথা আলোচিত হয়েছে। সেগুলো হলো-
আলামত- ১: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো।’ এই হাদীস দ্বারা এ রাতটির তিনটি আলামত নির্ণিত হয়— ১. রাতটি রমজান মাসে হবে। ২. রমজানের শেষ দশকে হবে। ৩. শেষ দশকের বেজোড় রাত হবে।
আলামত- ২: রমজানের শেষ সাত দিনে এ রাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাসুল (সা.) থেকে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতে তা অন্বেষণ করে।’
আলামত- ৩: রমজানের ২৭তম রজনী অর্থ্যাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। মুসলিম শরীফে এসেছে, রাসুল (সা.) থেকে হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) বর্ণনা করে বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসুল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন; তা হলো- রমজানের ২৭ তম রাত।’
আলামত- ৪: রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। অর্থাৎ এ রাতের অন্ধাকারচ্ছন্নতা অন্য রাতের তুলনায় কম হবে।
আলামত- ৫: সে রাতের আবহাওয়া হবে নাতিশীতোষ্ণ। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না সে রাতে।
আলামত- ৬: মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে গোটা রাত জুড়ে।
আলামত- ৭: সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
আলামত- ৮: কোনও ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ মহান স্বপ্নে রাতটির কথা হয়তো জানিয়েও দিতে পারেন।
আলামত- ৯: ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণও হতে পারে।
আলামত- ১০: সে রাতের সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। সেদিন সকালের প্রথম সূর্যটি হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো।
সারাবাংলা/এসবিডিই