লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সতর্ক করে বলেছে, সিরিয়ার দামেস্কোতে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) উচ্চ-পর্যায়ের সদস্যদের হত্যার জন্য ‘চরম শাস্তি’ পাবে ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ তার মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্তে গুলি বিনিময় করছে।
রয়টার্স জানিয়েছে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবশ্যই, শত্রুদের শাস্তি না দিয়ে, প্রতিশোধ না নিয়ে এই অপরাধ ক্ষমা করা যাবে না।’
এদিকে আইআরজিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই হামলায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং আরেকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ সাতজন আইআরজিসি সদস্য নিহত হয়েছেন।
ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে আট জন ইরানি, দুই জন সিরিয়ান এবং একজন লেবাননের নাগরিক রয়েছেন।
এদের সবাই যোদ্ধা বলে জানিয়েছে, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
হিজবুল্লাহ বলেছে, ‘নিহত জাহেদি লেবাননে প্রতিরোধের কাজকে বিকাশ ও অগ্রসর করার জন্য বহু বছর ধরে সমর্থন, ত্যাগ স্বীকারকারীদের প্রথম সারির একজন।’
অবজারভেটরি জানিয়েছে, জাহেদি ফিলিস্তিন, সিরিয়া এবং লেবাননের জন্য ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন। এই হামলায় তিনি তার সহযোগী এবং তিনটি দেশের কুদস ফোর্সের প্রধান স্টাফসহ নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, তারা ওই হামলা সম্পর্কে এই মুহুর্তে কোনও মন্তব্য করবে না।
তবে গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল এবং ইরানের মিত্রদের মধ্যে সম্ভাব্য সহিংসতার বিপরীতে কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা।