বোল্ট-বার্গার পেস তোপের পর চাহালের স্পিন ঘূর্ণি। এতে নিজেদের মাঠ ওয়াংখেড়েতে স্রেফ ১২৫ রানের পুঁজি পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মামুলি এই লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হলো না রাজস্থান রয়্যালসকে। ২৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সঞ্জু স্যামসনের দল। এতে মুম্বাই যখন আসরের শুরুর তিন ম্যাচেই দেখল হারের মুখ দেখল, এর বিপরীতে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতল রাজস্থান।
মুম্বাইয়ের আগের দুই ম্যাচ ছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। সেই দুই ম্যাচে হারের পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নই দেখছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। তবে সেখানে ঘরের মাঠের দর্শকদেরও হতাশ করলো তারা।
মুম্বাইয়ের হার সেই টস থেকেই। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান তোলে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
লক্ষ্যটা সহজের কাতারে থাকেলও রাজস্থানের টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার ফিরেছেন দ্রুতই। যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার ও অধিনায়ক স্যামসন তিনজনই ফিরেছেন ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১০ পেরোনোর পরপরই। স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ৪৮ রান। সেখানে আরও একবার ব্যাটিং তাণ্ডব দেখান রিয়ান পরাগ। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৫ ওভার ৩ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রয়্যালরা।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪৩, পরের ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ এবং এই ম্যাচে অপরাজিত ৫৪ রান। এ যেন এক নতুন রিয়ানের আবির্ভাব। আগের আসরগুলোতে যখন বাজের পারফর্মের জন্য হচ্ছিলেন সমালোচিত সেখানে এখন রিয়ানের বন্দনায় মাতছে সবাই। তিন ম্যাচে ১৮১ রান করে বিরাট কোহলির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন রিয়ান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ‘গোল্ডেন ডাক’ এর লাইন ধরেন রোহিত শর্মা, নামান ধীর এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তিনজনই ফিরেছেন বোল্টের বলে। রোহিত তো ডাকের রেকর্ডই গড়ে ফেলেছেন, আইপিএল ইতিহাসে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে এখন যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি (১৭) ডাকের মালিক এখন ভারতীয় অধিনায়ক।
বোল্টের পেস থেকে রেহাই পেলেও বার্গারের তোপ এড়াতে পারলেন না ঈশান কিষান। দলীয় ২০ রানের মাথায় তিনিও সাজঘরে। সেখান থেকে তিলক ভার্মার ৩২ এবং অধিনায়ক হার্দিকের ৩৪ রান ভর করে মান বাঁচানোর সংগ্রহ পায় মুম্বাই।
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন বোল্ট ও চাহাল। এর মধ্যে শুরুতেই পেস তোপে মুম্বাই টপ-অর্ডারকে লণ্ডভণ্ড করা বোল্টের হাতেই থামে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ ১২৫/৯ (২০ ওভার) (হার্দিক ৩৪, তিলক ৩২; চাহাল ৩/১১, বোল্ট ৩/২২)
রাজস্থান রয়্যালসঃ ১২৭/৪ (১৫.৩ ওভার) (রিয়ান ৫৪*, অশ্বিন ১৬; আকাশ ৩/২০)
ফলঃ রাজস্থান ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ট্রেন্ট বোল্ট