রাশেদ চৌধুরী জানান, তাঁর সিনেমার জন্য যখন নানা তথ্য সংগ্রহ করছিলেন, তখন অনেক কিছুই বইতে লেখা থাকলেও সেগুলোর সুর–সংগীত কেমন হবে, তা জানতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। পরে খায়রুল আলমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
রাশেদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘তাঁর জন্যই আমাদের সিনেমাটা করা অনেকটা সম্ভব হয়েছে। তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখায় জানতে পারলাম গ্রামের অভ্যন্তর থেকে তাঁর সংগ্রহে ছিল “চন্দ্রাবতী”র লেখা পালাগানের সুর ও তাঁর লেখা বারোমাসি গান, প্রায় অবিকৃত আদলে। তাঁর কাছ থেকেই গানগুলোর উপস্থাপনার ধরনটা আমাদের পাওয়া। তাঁর হাত ধরেই আমরা খুঁজে পাই খোকন বয়াতি, শংকরসহ অনেক স্থানীয় শিল্পীদের। যাঁরা সিনেমায় গান করেছেন, অভিনয় করেছেন। স্বশিক্ষিত এই পণ্ডিত যেন নিজেই এক লোকশিল্প জাদুঘর। তাঁদের ভারসার জায়গা ছিলেন খাইরুল ভাই। যিনি সব সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করতেন।’