বয়কটের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রভাবের বিষয়টির অবতারণার কারণ হচ্ছে, আমাদের রাজনীতিতে হঠাৎ বয়কটের প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক।
নির্বাচনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা প্রভাবশালী (সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার) হিসেবে বেশি পরিচিত, এ রকম অনেকে গত নির্বাচনে আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করে। তারা যে খুব সংগঠিত কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের একনিষ্ঠ সমর্থক, এমন কোনো প্রমাণ নেই। দেশের ভেতরে ও বাইরে ছড়িয়ে থাকা এসব প্রভাবশালীর মধ্যকার অভিন্ন যোগসূত্র হচ্ছে, তারা সরকারবিরোধী।
এসব সরকারবিরোধী কেন ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তার সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায়।
গত ২৮ জানুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ দেশে কিছু কিছু অপজিশন কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমাদের এখানে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। নির্বাচনটাকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল, সে সময় ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। সে কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।’