উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম গত রোববার তাঁর কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কার্যক্রমের প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন। দুটি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধান কারণ হচ্ছে, রেললাইন থেকে বিয়ারিং প্লেট খুলে ফেলা। আর নাশকতার উদ্দেশ্যে বিয়ারিং প্লেটগুলো খুলে ফেলা হয়েছে বলে মনে হয়নি। চুরির উদ্দেশ্যে কয়েকজন কিশোর তিনটি বিয়ারিং প্লেট খুলে নিয়েছে। অন্য কারণটি হচ্ছে রেলসেতুর স্লিপারের অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব কিংবা সংস্কার না করার কারণে এগুলো নষ্ট হয়েছে। ওই রেলসেতু ট্রেনের বগিগুলোর ভার (লোড) নিতে পারেনি। ফলে লাইনচ্যুত হয়েছে। শহিদুল ইসলাম জানান, তদন্তের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এরপর দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবেন তাঁরা।
১৭ মার্চ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এরপর সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল শুরু হতে তিন দিন সময় লাগে।