এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল ৪৪টি। এর মধ্যে ২৯টি দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে নিবন্ধনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে গণতন্ত্রী পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে ইসি।
বাছাইয়ে বাদ পড়ার পর ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির ১৬ জন, বিএনএমের ৭ জন ও বিএনএফের ১২ জন।
গণফোরামের পাঁচজন প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন। দলটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানসহ পাঁচজনই আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের শরিক জাসদের আটজন, তরীকত ফেডারেশনের দুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও সাম্যবাদী দলের একজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ঋণের জামিনদার হিসেবে খেলাপি হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আপিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। তবে তাঁদের দলের মহাসচিব আবদুল মান্নান প্রার্থিতা ফিরে পাননি।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ১৯ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১২ জন, কল্যাণ পার্টির ৩ জন, জাকের পার্টির ৬ জন, খেলাফত আন্দোলনের ৩ জন আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বাকিরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে।