লাইফস্টাইল ডেস্ক
নতুন মা হিসেবে সন্তানের স্বস্থ্যের কথা চিন্তা করে রোজা রাখার ব্যাপারে দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন? ভাবছেন রোজা রাখলে সন্তান পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাবে কিনা? সন্তানের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না তো? প্রতিটি নতুন মায়েরেই এধরনের চিন্তা আসা স্বাভাবিক। রোজার সময় যদি মাকে যথেষ্ট পরিমারে সুষম খাদ্য দেওয়া যায় তবে মায়ের সাথে সন্তানও সুস্থ থাকবে। কাজেই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের রোজা রাখায় তেমন কোন অসুবিধা নেই যদি তিনি নিজের যত্ন সঠিকভাবে নেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে না চললে তার নিজের তো কষ্ট হবেই, একই সাথে প্রভাব পড়বে সন্তানের স্বাস্থ্যের ওপরেও। বুকের দুধের অভাবে শিশু যদি দুর্বল, ক্লান্ত কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে প্রসূতি মায়ের রোজা ছেড়ে দিয়ে পরে কাজা আদায় করে নেওয়ার কথা ইসলামে বলা রয়েছে। মনে রাখবেন, রোজা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যই পারে মায়ের সুস্বাস্থ্য এবং নবজাতকের স্বাভাবিক বৃদ্ধির গতি অক্ষুন্ন রাখতে।
রোজায় নতুন মায়ের খাবারের প্রতি যত্নবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার নবজাতকের যত্নের বিষয়ে যথাযথ লক্ষ্য রাখতে হয়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় যতবার শিশু মায়ের দুধ চাইবে ততবার মায়ের দুধ সন্তানকে দিতে হবে। মায়ের দুধ শিশু জন্মের ছয় মাসে শুধু প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে না, বরং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক টিকা হিসেবে কাজ করে। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করা শিশু যদি দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ছয়বার বা তার বেশী প্রস্রাব করে এবং দৈনিক চারবার আঠালো মল ত্যাগ করে তাহলে বুঝতে হবে শিশু পর্যাপ্ত মায়ের দুধ পাচ্ছে। মায়ের দুধ খেয়ে পেট ভরে গেলে শিশু নিজ থেকে দুধ ছেড়ে দেবে। তখন সে হাসিখুশি থাকবে, খেলবে অথবা শান্তভাবে ঘুমিয়ে পড়বে। রমজান মাসে প্রতি সপ্তাহে সন্তানের ওজন নিন, যদি ওজন বাড়ে তাহলে ধরে নিন মায়ের দুধ শিশু পর্যাপ্ত পাচ্ছে। যদি ওজন একই রকম থাকে তাহলে পরের সপ্তাহে আবার ওজন নিন। যদি দেখেন শিশুর ওজন কমে গেছে তবে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সারাবাংলা/এসবিডিই