গণহত্যার স্বীকৃতি ও জবাবদিহি জরুরি

গণহত্যার স্বীকৃতি ও 
জবাবদিহি জরুরি

গণহত্যার মতো অপরাধের বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরে এলিসা বলেন, গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার এবং জবাবদিহি না হলে ভবিষ্যতে তাদের আবারও এ ধরনের কাজে জড়ানোর আশঙ্কা তিন গুণ বেশি থাকে।

লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের পরিচালক বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি জঘন্য গণহত্যার শিকার হয়েছে। ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ২ থেকে ৪ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হন। যখন পশ্চিম পাকিস্তানিরা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছিল, তখন তারা ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বাংলাদেশে যুদ্ধ চলাকালে অনেক সাংবাদিক ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৭২ সালে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখানে ‘অ্যাক্টস অব জেনোসাইড’ সংঘটিত হয়েছে।

৫০ বছর পর লেমকিন ইনস্টিটিউট ও জেনোসাইড ওয়াচ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে জানিয়ে এলিসা ফরগে বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়টি বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কেস স্টাডি হিসেবে পড়ানো হয়। কিন্তু এই গণহত্যার বিষয়টি সেভাবে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। স্বাধীনতা–পরবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভূরাজনীতিতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের গুরুত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুক্ততা এর অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন।

Scroll to Top