শুক্রবার আদালতে যাওয়ার সময় কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমার জীবন দেশের জন্য নিবেদিত। জেল হলেও সেখান থেকে আমি দেশের জন্য কাজ করে যাব।’
কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা এর আগে কখনো রাজনৈতিক বিবৃতি দেননি। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, ‘তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে মোদিজি গ্রেপ্তার করালেন ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে। সবাইকে তিনি দুমড়েমুচড়ে দিতে চাইছেন। দিল্লির জনগণের সঙ্গে এটা বিশ্বাসঘাতকতা। তাঁর জীবন দেশের জন্য সমর্পিত। জনতা সব জানে। জয় হিন্দ।’
ভোটের আগে তাঁকে যে গ্রেপ্তার করা হবে—সেই শঙ্কা কেজরিওয়াল অনেক দিন থেকেই করছিলেন। নিজে বারবার সেই আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েও ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভোটের আগে বিজেপির সরকার তাঁকে জেলে পুরতে চাইছে যাতে তাদের জয় মসৃণ হয়। আশঙ্কা সত্যি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলের কর্মী ও সমর্থকেরা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেন। শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁরা বিজেপির সদর দপ্তরের সামনে জমায়েত কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তাতে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। রাজধানীতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। গ্রেপ্তার করা হয় মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজসহ বহু নেতা–কর্মীকে। প্রস্তুত রাখা হয় দাঙ্গারোধ বাহিনীকে। কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (আপ) জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিজেপি দপ্তরের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখাবে।