বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমেছে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ে বুঝতে পারার দক্ষতা। ওইসিডি সংস্থার ৮২টি দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর করা গবেষণায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিষয়গুলোর ওপর কিশোরদের দক্ষতা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এর কারণ হিসেবে কোভিড নাইনটিনকে অনেকাংশে দায়ী করছেন গবেষকরা। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক তথ্য। ২০২২ সালে ৮২ দেশের সাত লাখ শিক্ষার্থীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালায় তারা। দুই ঘণ্টাব্যাপী মূল্যায়নে উঠে এসেছে দক্ষতা হ্রাসের বিষয়টি।
ওইসিডির মহাসচিব ম্যাথাইস কোরম্যান বলেন, প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, কিশোরদের গণিত এবং পড়ার দক্ষতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় পড়ার দক্ষতা ১০ পয়েন্ট এবং গণিতের দক্ষতা ১৫ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। যা ২০০০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ দক্ষতা হ্রাসের ঘটনা। জার্মানি, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং পোল্যান্ডের মতো দেশেগুলোতে এই অবনতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।
কিশোরদের বিজ্ঞান, গণিত এবং পড়ার দক্ষতা হ্রাসের কারণ হিসেবে করোনা মহামারিকে অনেকাংশে দায়ী করছেন গবেষকরা। অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তিকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওইসিডির শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক আন্দ্রেস শলেইচার বলেন, মহামারির অনেকখানি ভূমিকা রয়েছে। অনেক দেশ দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহারের জেরে মনোযোগ হীনতার প্রবণতা বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের সহযোগিতামূলক আচরণও কমেছে অনেকাংশে। এসব কিছুই কাজ করেছে প্রভাবক হিসেবে।
বেশিরভাগ দেশে এমন পরিস্থিতি দেখা গেলেও বিকল্প দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সিঙ্গাপুর। মহামারিকালেও উন্নতি হয়েছে তাদের শিক্ষাব্যবস্থায়। এছাড়া জাপান, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, ইসরায়েলের মতো দেশগুলোও কাটিয়ে উঠেছে সংকট।
এসজেড/