কংগ্রেস সংসদ সদস্য ধীরজ সাহুর বাড়ি, একাধিক সংস্থা এবং অফিস থেকে সাড়ে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে গত আট দিনে। কিন্তু তার পরেও থামেনি আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। আয়কর কর্তারা মনে করছেন, সাংসদের বাড়িতে মাটির নিচে সোনার ‘ভান্ডার’ রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর কর্মকর্তারা।
শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়কর কর্তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারা বলছে, এখানেই শেষ নয়, আরও টাকা বা গয়নার সন্ধান মিলতে পারে। তাই তল্লাশিতে কোনও রকম কমতি রাখতে চাইছেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট দিনে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এবার সোনার ‘ভান্ডারের’ খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা।
আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডে সাহুর লোহারডাগার বাসভবনে সেই ভান্ডারের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে মাটির নিচে সোনা, রুপাসহ মূল্যবান ধাতু এবং গয়না লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আর সেই ‘ভান্ডারের’ খোঁজে উন্নত মানের যন্ত্র ‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার’ (জিপিআর) নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাংসদের রাঁচীর বাড়িতেও মাটির নীচে কোনও সম্পদ লুকোনো আছে কি না, তা চিহ্নিত করার জন্য এই জিপিআর যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
বুধবার থেকেই সাংসদের লোহারডাগার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর কর্মকর্তারা। তাদের সাথে সাহু পরিবারের তিন সদস্যও রয়েছেন।
আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যে বিপুল পরিমাণ টাকা সাহুর বাড়ি, অফিস এবং সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে, এই সম্পদের শেষ এখানেই নয়। তাই মাটির নিচেও কোন সম্পদ লুকোনো আছে কি না, তা তদন্ত করে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
তারা জানায়, শুধুমাত্র ৩৫৪ কোটি টাকাই উদ্ধার হয়েছে ওড়িশার বোলাঙ্গিরের অফিস থেকে। ৯ আলমারি ভর্তি ছিল সেই টাকা। বাকি যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেগুলো ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে সাহুর অন্য অফিস থেকে। যদিও সরকারি সূত্রে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ বলা হয়েছে ৩৫৪ কোটি টাকা। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।