জন্মহার কমে যাওয়ায় চীনের অনেক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ার কারণে হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।
চ্যানেল নিউজএশিয়া জানিয়েছে, পূর্ব ঝেজিয়াং এবং দক্ষিণ জিয়াংজিসহ বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলো গত দুই মাসে তাদের প্রসূতি বিভাগগুলো বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জিয়াংজির গাঞ্জো শহরের ‘পিপলস হাসপাতাল’ গত ১১ মার্চ থেকে তাদের প্রসূতি পরিষেবা বিভাগ বন্ধ করে দেয়। ঝেজিয়াং এর ‘জিয়াংশান হসপিটাল অফ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন’ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেয় তাদের প্রসূতি বিভাগ।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে প্রসূতি হাসপাতালের সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ৮০৭টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে ৭৯৩টিতে। স্থানীয় মিডিয়াগুলো বলেছে, নবজাতকের সংখ্যা হ্রাসের অর্থ হল অনেক হাসপাতালের পক্ষে তাদের প্রসূতি বিভাগগুলো পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরের মত হ্রাস পেয়েছে। বার্ধক্য ও জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে দেশটির জিডিপিও প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। কর্তৃপক্ষ জন্মহার বাড়ানোর জন্য প্রণোদনা এবং বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটি সম্প্রসারণ, সন্তান ধারণের জন্য আর্থিক ও কর সুবিধা এবং আবাসন ভর্তুকি।