জাহাজ, ড্রোন এবং কমান্ডোদের টানা ৪০ ঘণ্টার একটি সাহসী অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যু দ্বারা ছিনতাই হওয়া একটি জাহাজ। এসময় আত্মসমর্পণ করে ৩৫ সোমালিয়ান জলদস্যু।
রোববার ১৭ মার্চ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এই উদ্ধার অভিযানে নৌবাহিনীর একাধিক জাহাজ, ড্রোন, বিমান এবং সামুদ্রিক কমান্ডো জড়িত ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন মাস যাবৎ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে বন্দি থাকা রুয়েন জাহাজটিকে উদ্ধারের এই অভিযান পরিচালনার জন্য ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা দু’হাজার ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব যাত্রা করতে হয়েছে।
গত শুক্রবার একটি ভারতীয় বিমান ছিনতাইকৃত জাহাজের কাছে গেলে জলদস্যুরা তা লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। নৌবাহিনী দ্বারা শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন জলদস্যু জাহাজের ডেকের উপর হাঁটছে এবং জাহাজের উপর ঘোরাফেরা করছে। উড়োজাহাজটি জাহাজের কাছাকাছি যেতেই এর দিকে তার বন্দুক তাক করে গুলি ছোঁড়তে থাকে।
শুক্রবারের ওই হামলার পর নৌবাহিনী আত্মরক্ষায় তার অবস্থান পরিবর্তন করে এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। পরে শনিবার, নৌবাহিনী’র টহল জাহাজ আইএনএস সুভদ্রা, হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং পিএইটআই সামুদ্রিক টহল বিমানের সহায়তায় সফলভাবে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
জলদস্যুদের আটক করতে এবং নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আট জন সামুদ্রিক কমান্ডো (মার্কস প্রহর) এর একটি স্কোয়াডকে একটি সি-১৭ বিমানের মাধ্যমে জাহাজে নামানো হয়েছিল।
অভিযানের সময় কোন আহত হয়নি, নৌবাহিনী বলেছে, জাহাজটিকে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্যের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে।