কালো কাপড় সরিয়ে নেওয়া হোক

কালো কাপড় সরিয়ে নেওয়া হোক

প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় কাজ। ছাত্রলীগ নেতারা প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাইতে পারতেন। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারতেন। কিন্তু সেসব না করে তাঁরা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মীদের ওপর হামলে পড়লেন কেন? কেনই-বা রাজু ভাস্কর্যটি কালো কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন?

অন্যদিকে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আর সি মজুমদার হলে যে সেমিনারের আয়োজন করেছিল, সেটি খোঁড়া যুক্তিতে বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, ‘সেমিনার থেকে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আসতে পারে।’ কিন্তু তাদের জানা উচিত রাষ্ট্র ও সরকার এক নয়। আবার সকারের কোনো নীতির সমালোচনা করার অর্থও সরকারের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করা নয়।

শিক্ষাক্রম নিয়ে সেমিনার করতে না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রমাণ করেছে, তারা চায় না ক্যাম্পাসে জ্ঞানচর্চা হোক, তর্কবিতর্কের মাধ্যমে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যদি শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা করতে না পারেন, তাহলে তঁারা কী নিয়ে আলোচনা করবেন? যে বিশ্ববিদ্যালয় একদা সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

Scroll to Top