ঢাকা, ১৩ মার্চ – স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের অনেকের শরীরের ৯০-১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধদের দেখতে এসে এ কথা জানান তিনি। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে পূর্ণবয়স্ক পাঁচজন ও শিশু সাতজন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা টপস্টার এলাকায় এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তেলিরচালা এলাকায় শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। তখন তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। এ সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারের গ্যাসে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। তখন রাস্তায় থাকা মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ওই এলাকার শফিক খান (৪২), মোন্নাফ (১৭), তারেক (১৮), কুদ্দুস মিয়া (৩৫), সোলায়মান (৮), ফাতেমা (১০), মোঃ কুটি (৪০), রাব্বি (১২), শারমিন (৭), মোতালেব (৪০), সুমন (৩৫), লালন (২০), লাদেন (২২), সাইদুল (২৬), ফারজানা (১০), সুফিয়া (৯), নার্গিস (২২), কমলা বেগম (৫৭), আরিফুল (৩২), তাওহীদ (৬), তাইফা (৩), নাইম (১০), সাকিবুল (৭), নিরব (৯) ও নুরনবী (৮)। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১৩ মার্চ ২০২৪