র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আজ – DesheBideshe

র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আজ – DesheBideshe

ঢাকা, ০৬ মার্চ – দেশে সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে গঠিত এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ মার্চ) দরবার অনুষ্ঠিত হবে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট র‌্যাব’।

বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাবের সদর দপ্তরের দরবারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাব। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘রেইজিং ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে বিশেষ এই এলিট ফোর্স।

বর্তমানে বাহিনীর মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‌্যাব। প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে বাহিনীটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র‌্যাব’র জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা।

বর্তমানে সারাদেশে এ এলিট ফোর্সের ব্যাটালিয়ন সংখ্যা ১৫টি। যেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জীবনবাজি রেখে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে সংস্থাটি।

র‌্যাব দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ টানা ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আমির শায়খ আব্দুর রহমানকে সিলেটের শাপলাবাগ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। প্রতিষ্ঠার পর এটিই ছিল র‌্যাবের সবচেয়ে আলোচিত অভিযান ও সবচেয়ে বড় সাফল্য।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেওয়ার পরপরই মাঠে নামেন র‌্যাব গোয়েন্দারা। এরপর গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শত শত জঙ্গিকে।

এছাড়া রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর র‌্যাব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। গত এক বছরের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর তিন শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে বাহিনীটি। এছাড়া বিশেষ দিনগুলোতেও তাদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।

র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলছে অকুতোভয় র‌্যাব ফোর্সেস। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশপ্রেমে বলিয়ান হয়ে পেশাদারত্ব, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, যাতে সাধারণ জনগণ মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট র‌্যাব’ এবারের স্লোগানে আমরা বন্ধুর মতো সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এ দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা। সেই সঙ্গে দেশ থেকে মাদক, অস্ত্রকারবারি ও সন্ত্রাস মুক্ত করা। এ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সচেষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বেশকিছু ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে। যার মধ্যে একটি দস্যুমুক্ত সুন্দরবন।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৬ মার্চ ২০২৪

Scroll to Top