অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে অনলাইন জুয়া এবং লোনের সফটওয়্যারগুলো বন্ধ করা জরুরি। মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো লেনদেনের ওপরও সরকারিভাবে নজর রাখা উচিত। অ্যাকাউন্টে রিচার্জ করা টাকা অবৈধভাবে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) রিজার্ভে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে দেশের ক্যাসিনোতে এখন আর প্রকাশ্যে চলে না জুয়া খেলা। তবে অনলাইনে চলা ক্যাসিনো জুয়ার আগ্রাসনের রাশ এখনো টানা যায়নি; বরং তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
অনলাইন জুয়ায় বছরে পাচার পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ পাচার হচ্ছে। প্রায় ২০০ জুয়ার ক্ষেত্র শনাক্ত করে সেই সব ওয়েবসাইট লিংক বন্ধ করার পরও বেড়েই চলেছে অনলাইন জুয়ার আগ্রাসন। বিটিআরসির রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি ৩৩১টি জুয়ার সাইট দেশের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন জুয়ার এই সামাজিক আগ্রাসন বন্ধ করা অপরিহার্য।
জুয়ার সব ক্ষেত্র বন্ধ করতে সরকারি হস্তক্ষেপ সরাসরি জরুরি।