গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলায় পাঁচ মাসের দুই জমজ শিশুসহ ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এখনও ধ্বংস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে অনেকে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা।
গাজা শহরের কুয়েতি গোলচত্বরে সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর হামলায় ৮ জন মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর হামলা চালালে ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। গাজা শহরের কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে গত কয়েক দিনে ১৫ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে মিশরে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছে। এতে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই যুদ্ধবিরতি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলছে, ইসরায়েল তাদের দাবি মেনে নিলে আগামী ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং সাফতাউই এলাকায় দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে এই উড়োজাহাজ হামলা চালানো হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৪১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৭০০ জন।