ট্রেন দুর্ঘটনা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা সম্প্রতি ভারতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি দুর্ঘটনার দিকে তাকালে বুঝা যায়। সেসব দুর্ঘটনার একটি গত বছরের ২৯ অক্টোবরের দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনার মূল কারণ প্রকাশ হয়েছে। ট্রেন চালকরা সেই সময় ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে।
রোববার ৩ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্ধ্র প্রদেশের ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নামে গোটা ভারতজুড়ে। ওড়িশার বালাসোরের দুর্ঘটনার পর অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরমে ঘটে আরও এক দুর্ঘটনা। ৪ মাস পর সেই রেল দুর্ঘটনার কারণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, অন্ধ্র প্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটেছে কারণ লোকো পাইলট এবং কো-পাইলট উভয়ই ক্রিকেট ম্যাচটি নিয়ে অন্যমনষ্ক ছিলেন।
উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরমে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। তারমধ্যে একটি ট্রেনের চালকরা ফোনে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন বলে জানান রেলমন্ত্রী। তবে এমন পরিস্থিতি রুখতে রেল কড়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন আমরা এমন সিস্টেম ইন্সটল করছি যা এই ধরনের কোনও অন্যমনষ্কতাকে শনাক্ত করতে পারে। তিনি বলেন, ওই সিস্টেম ‘নিশ্চিত করতে পারে যে পাইলট এবং সহকারী পাইলটরা ট্রেন চালানোর উপর পুরোপুরি মনোযোগ দিচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হাওড়া-চেন্নাই লাইনে রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কা লাগে বিশাখাপত্তনম পলসা ট্রেনে। সেই সময় চলছিল ক্রিকেট ম্যাচ।
রেলমন্ত্রী বলেন, ফোনে চালকরা ম্যাচ দেখতে গিয়ে গাড়ির ওপর থেকে তাদের নজর সরে যায়। তার ফলেই দু’ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ। তবে নতুন যে প্রযুক্তি আসছে তাতে, মনসংযোগ আর যাতে চালকরা না হারাতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।