স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
দশম বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের শুরুটা হয়েছিল ভূতুড়ে। ২৭ রানে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে রান উঠছিল না মাঝের ওভারগুলোতেও। তবে শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তুললেন জেমি নিশাম। কিউই অলরাউন্ডারের ঝড়ে কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিয়েছে রংপুর।
২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলেছে রংপুর। মিরপুরের পিচ যেমন আচরণ করছে তাতে এই রান কঠিন চ্যালেঞ্জই। জেমি নিশামই খাদের কিনারা থেকে রংপুরকে টেনে নিয়েছেন অনেকটা দুর। তবু মন খারাপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কিউই তারকাকে। মাত্র ৩ রানের জন্য যে সেঞ্চুরি মিস করলেন! শেষ পর্যন্ত ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাম।
মিরপুরের পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। সেই কারণেই টস জিতে আগে বোলিং নিতে ভাবেননি কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুতে বোলিং করতে নেমে রংপুরকে ভালোমতো আটকেও রেখেছিলেন কুমিল্লার বোলাররা। কিন্তু শেষ দিকে নিশাম ঝড়ে ঠিকই বড় রান পেয়েছে রংপুর।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুর শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না। মেকশিফট ওপেনার শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে ইনিংসের সূচনা করতে নেমেছিলেন রনি তালুকদার।
শামীম রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান তিনে নেমে ধরে খেলার চেষ্টা করে গেছেন। সাকিব সেটাও করতে পারেননি আজ। আন্দ্রে রাসেলের বলে ফিরেছেন ৯ বলে ৫ রান করে। খানিক বাদে অপর ওপেনার রনি তালুকদারও ১৩ রানে ফিরলে বড় বিপদেই পরে রংপুর।
এরপরই জেমি নিশামের আগমন। বিপদে পড়া রংপুরের হয়ে উইকেটে নেমে সাবলীল ব্যাটিং করে গেছেন। তবে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বল খেলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিশাম। কিউই অলরাউন্ডার চার হাঁকিয়েছেন ৮টি, ছক্কা ৭টি।
এছাড়া নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ৩০ ও শেখ মাহেদি ১৭ বলে ২২ রান করেছেন। কুমিল্লার হয়ে আান্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস