ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা নামে এক নারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে কর্মরত আছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরেই জমজমাট হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নিবার্চনের প্রচার-প্রচারণা। ৩৩ ওয়ার্ডে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা যাচ্ছেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের শরাফ উদ্দিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা কার্যক্রম চালান খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরে কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন ও মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর পক্ষে রুমার প্রচারণার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার বলেন, রুমা ভাবি এই এলাকার সকলের পরিচিত। তার বাসা আমাদের বাসার পাশেই। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিনের পক্ষে ভোট চাইছেন। এই এলাকায় এসে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট দিতে আমাদের বলেছেন। শুনেছি তিনি সরকারি চাকরি করেন। তবে আমাদের এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করবে আমরা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।
একই এলাকার আরেক ভোটার জিন্নাত আরা বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন এবং আব্দুল মান্নানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই এলাকায় উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থক রয়েছে। জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা ঠেলাগাড়ি প্রতীকের শরাফ উদ্দিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমাদের কাছে ভোট চেয়েছেন।
প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা বলেন, আমার পছন্দের লোক আমার আত্মীয়ও হতে পারে। তাই তার জন্য কারো কাছে ভোট চাইতেই পারি। আমার চাকরি ঠিক রেখে সবকিছু করছি। আমি টজু ভাইকে পছন্দ করছি, শরাফ ভাইকে পছন্দ করছি বা তাদের পক্ষে প্রচারণা করছি এ বিষয়ে যা পারেন লিখেন। আমার বক্তব্য রেকর্ড করে ভাইরাল করেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
ময়মনসিংহ জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা কারো পক্ষ নিয়ে নিবার্চনে প্রচারণায় নামতে পারবেন না। সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। যদি এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরি করে নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এলাকার কেউ প্রার্থী হলে তার পক্ষে সমর্থন থাকতে পারে। প্রকাশ্যে প্রচারে নামা যাবে না। এ বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।