ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন নিয়ে বিশ্ব মোড়লেরা দুমুখো নীতি পালন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের ভুক্তভোগী আমরা। আমাদের বিশ্ব মোড়লেরা দুমুখো নীতিতে বিশ্বাস করে। ফিলিস্তিনের সমস্ত জমি দখল করে রেখেছে, ওটা ইনোভেশন না। কিন্তু ইউক্রেনেরটা ইনোভেশন। এই দুমুখো নীতি কেন হবে? সেটা আমার প্রশ্ন ছিল। আমি বলেছি। অনেকেই সাহস করে বলবে না।’
মিয়ানমার ইস্যুতে সংশ্লিষ্টদের ধৈর্য ধরার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি বারবার। আসলে মিয়ানমারের অবস্থা এত খারাপ! আর বিশ্বনেতৃত্বের সঙ্গে যখন কথা বলি, সবাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি দেখান। কিন্তু আসলে এদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর কিছু হচ্ছে না। এটা হলো বাস্তবতা।’
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মধ্য ও উঠতি শক্তির দেশগুলোকে নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির চিন্তা প্রধানমন্ত্রী করছেন কি না জানতে চান একজন সাংবাদিক। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সাধারণ একজন মানুষ। ছোট একটা ভূখণ্ডে বিশাল জনগোষ্ঠী। আমি সেটা নিয়েই ব্যস্ত। তবে কোথাও কোনো অন্যায় দেখলে আমি আমার কণ্ঠ সোচ্চার করি। প্রতিবাদ করি। যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই—এই কথাটা বলি। কিন্তু কোনো প্ল্যাটফর্ম করার মতো দক্ষতা আমার নেই। সেই চিন্তাও আমার নেই।’ তিনি আরও বলেন, অনেক প্ল্যাটফর্ম হয়ে গেছে। কিন্তু কাজের সময় কাজে লাগে না। আজকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নিরাপত্তা কাউন্সিলে প্রস্তাব আসে। সেখানে ভেটো দেওয়া হয়।