এটি বোঝা জরুরি যে মিয়ানমারের বিবদমান পক্ষগুলোর ব্যাপারে আমরা নিরপেক্ষ থাকতে পারি, অথবা না–ও থাকতে পারি।
আমাদের অবস্থান যা–ই হোক না কেন, ওই দেশের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে কে বা কারা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে আমাদের কাছাকাছি চিন্তা লালন করে আর কারা সেটা করে না—এটা এত দিনে আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। যারা আমাদের মতের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল, তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন নেমে আলাপ শুরু করার মধ্যে কোনো দোষ দেখি না, বরং এটা জরুরি। বিশেষত যখন সেখানে রাজনীতির গতির পরিবর্তন হচ্ছে।
এই পরিবর্তন ভবিষ্যতের যে মিয়ানমারকে তৈরি করছে, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা, বিশেষত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা একটি অপরিহার্য কাজ। মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান রেখেই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হওয়া সম্ভব।
সে ক্ষেত্রে একটি পথ হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করে ওই দেশের রাজনৈতিক মতামতকে প্রভাবিত করার উপায় খোঁজা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের একটি পুরোনো রাজনৈতিক সমস্যা।