মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিন কাটাতে গিয়ে যা হলো

মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিন কাটাতে গিয়ে যা হলো

মোবাইল যদি চুরি হয়েও থাকে, সন্দেহভাজন হিসেবে ড্রাইভারের নাম সবার পরে আসার কথা। বেচারা তো আগাগোড়াই বসে ছিলেন ড্রাইভিং সিটে। তাঁকে দিয়েই কেন খোঁজ দ্য সার্চ কার্যক্রম শুরু হলো কে জানে!

একে একে সবার পকেট চেক করতে লাগলেন ভলান্টিয়ার ভাইটি। এমনকি যাদের পকেট নাই, পরনে লুঙ্গি, তাদেরও লুঙ্গির গিঁট চেক করা হলো। কারও পকেটেই যখন উৎসুক সাহেবের মোবাইলটি পাওয়া গেল না, তখন বাসযাত্রীদের মধ্যে বিরক্ত একজন বলে উঠলেন, ‘এই যে ভাই…সবার পকেট চেক করতেসেন ভালো কথা। আপনার পকেট তো চেক করা হইলো না।’

‘হ হ, তাই তো।’

‘ঠিক কথা।’

রব উঠল। একরকম জোরজবরদস্তি করেই ভলান্টিয়ার ভাইটিরও পকেট চেক করা হলো। পেছনের দুই পকেট থেকে বেরিয়ে এল দুইটা মানিব্যাগ।

‘মানুষ একটা। মানিব্যাগ দুইটা ক্যান? ওই ধর ধর…’

লেগে গেল বিরাট হট্টগোল। উৎসুক সাহেবের হঠাৎই মনে হলো, মারামারির একটা ভিডিও তো করা দরকার। চোখের সামনে একটা মারামারি হবে অথচ ভিডিও করা হবে না, এটা তো হতেই পারে না! পকেটে হাত দিয়েই আবার আঁতকে উঠলেন তিনি, ‘আমার মোবাইল!’

যাহোক, বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরলেন উৎসুক সাহেব। ১৫ মিনিটের হাঁটাপথে আরও কয়েকবার তাঁকে ‘আমার মোবাইল’ বলে আঁতকে উঠতে দেখা গেল। উৎসুক সাহেব ঠিক করলেন, যতবার তিনি নিজের মোবাইলখানা মিস করবেন, কাগজে লিখে রাখবেন।

Scroll to Top