সাহাবিদের বিয়ের আয়োজন ছিল সাদামাটা

সাহাবিদের বিয়ের আয়োজন ছিল সাদামাটা

সে যুগে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হতো না। বিয়েতে মেয়ের মতামতকে অসম্ভব গুরুত্ব দেওয়া হতো। এমনকি বিয়ের পরও যদি পাত্রী জানাতেন যে সে বিয়েতে অসম্মত ছিলেন, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) সে বিয়ে বাতিল করে দিতেন। নারীরা নিজেদের বিয়ে নিয়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারতেন। কোনো কারণে পাত্র পছন্দ না হলে ‘না’ করে দিতে পারতেন। পাত্র ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক মর্যাদার অধিকারী হলেও নারীদের মতামত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হতো।

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি, খলিফাতুল মুসলিমিন। তিনি আবু বকর (রা.)-র মেয়ে উম্মে কুলসুম (রাহি.)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওমরের (রা.) মেজাজের কারণে সে নারী বিয়েতে রাজি না হয়ে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ওমর ইবনুল খাত্তাব পরে অন্য এক উম্মে কুলসুমকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন আলীর (রা.) মেয়ে উম্মে কুলসুম বিনতে আলী (রাহি.)।

এক সাহাবির মোহরানা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তাঁর মুখস্থ কোরআনকে মোহরানা হিসেবে ধার্য করা হয়, যা তিনি স্ত্রীকে শেখাবেন।বিয়ের মোহরানা ছিল একেক জনের একেক রকম। যাঁর যাঁর সামর্থ্য ও পাত্রীর সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারিত হতো। সাহাবিদের যুগে পাত্রীরাও চাইলে মোহরানার প্রস্তাব দিতে পারতেন। রুমাইসা বিনতে মিলহান (রা.) আবু তালহা (রা.)-কে বিয়ে করার সময় নিজের মোহরানা নির্ধারণ করেন স্বামীর ইসলাম গ্রহণ। তিনি শর্ত জুড়ে দেন, তাঁকে বিয়ে করতে চাইলে আবু তালহাকে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে।

Scroll to Top