লটারির টিকিট কিনে সকলেই জয়ের আশায় থাকেন। জয়ের আনন্দও উপভোগ করেন আত্মীয়-স্বজনসহ সকলের সাথে। তেমনি ওয়াশিংটনের এক ব্যক্তি লটারিতে পেয়েছেন ৩৭ লাখ ২৪ হাজার কোটি ৮১ লাখ দু’হাজার ৬২০ টাকা। তবে কোম্পানি বলছে, এখানে একটা ভুল হয়েছে। অর্থাৎ লটারির টাকা তিনি পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি পাওয়ারবল এবং ডিসি লটারির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।
দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, জন চিকস নামের ওই ব্যক্তি গত বছরের ৬ জানুয়ারি পাওয়ারবল লটারির টিকিট কিনেছিলেন।
পরের দিন পাওয়ারবল ড্রয়িং পোগ্রামে অনুপস্থিত ছিলেন না চিকস। তবে তার মাত্র দু’দিন পর ডিসি লটারির ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত তার নম্বরগুলো খুঁজে পান। অথচ, ডিসি লটারি দাবি করছে, এই নম্বরগুলো ভুলবশত প্রকাশিত হয়েছিল। যার ফলে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিজয়ী আইনি লড়াইয়ের দারস্থ হয়।
বিজ্ঞাপন
এনবিসি ওয়াশিংটনের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে চিকস বলেন, ‘লটারি পেয়ে আমি একটু উত্তেজিত হয়েছিলাম কিন্তু আমি চিৎকার করিনি। আমি শুধু বিনয়ের সাথে একজন বন্ধুকে ফোন করেছি। আমি তার সুপারিশ অনুযায়ী একটি ছবি তুলেছিলাম এবং পরে আমি ঘুমাতে যাই।’
যাইহোক, অফিস অফ লটারি অ্যান্ড গেমিংয়ে তার টিকিট জমা দেন। এর পর তার ওই লটারি কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করে।
আদালতের নথিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ চিকস’র দাবি অস্বীকার করছে। তার পুরস্কারের দাবি প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে তারা বলছে, ওএলজি’র গেমিং সিস্টেমের যে সকল নিয়ম রয়েছে তা টিকিটে না থাকায়, কর্তৃপক্ষের দ্বারা টিকিটটি বিজয়ী হিসেবে বৈধ করা হয়নি।
চিকস বলেন, ‘তাদের একজন আমাকে বলেন আমার টিকিটটি ভালো ছিল না। টিকিটটি শুধুমাত্র ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেওয়ার জন্য ব্যবহার যোগ্য।’ পরে চিকস তার টিকিট নিয়ে পাওয়ারবলের বিরুদ্ধে মামলা করে। তার মামলায় মাল্টি-স্টেট লটারি অ্যাসোসিয়েশন এবং গেমের ঠিকাদার তাওতি এন্টারপ্রাইজের নামও রয়েছে।
চুক্তির লঙ্ঘন, অবহেলা, মানসিক যন্ত্রণার প্রবণতা এবং জালিয়াতিসহ মোট আটটি বিষয়ে চিকস মামলা করেন। তার আইনজীবী রিচার্ড ইভান্স বলেন, বিজয়ী সংখ্যা চিকস’র সংখ্যার সাথে মিলে গেছে, তার পুরো জ্যাকপট পাওয়া উচিত।