রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিক্রির চর চাঁদপুর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫) ও শহীদ ওহাবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আক্কাস আলী মিয়া (৪৩)।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনটার্জ (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান নিজ অফিস কক্ষে হামলার শিকার হোন। এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নীহারিকা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন।
রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান বলেন, মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়েছিলাম। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে মামলার ১ নম্বর আসামি শফিকুল ও ২ নম্বর আসামি লিটনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তিন নম্বর আসামি আক্কাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লিটন ও শফিকুল ৯ জনের নামে সদর থানায় একটি মারামারির জিডি করতে যান। ওই সময় থানায় ডিউটিরত অফিসার ছিলেন এসআই নীহারিকা। ৯ জনের নামে জিডির বিষয়টি এসআই নীহারিকার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে এসআই নীহারিকা তাদের ওসির রুমে নিয়ে যান। তখন ওসি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য এক এসআইকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে যখন খোঁজ নিয়ে দেখেন যে তাদের সাথে দুই/তিন জনের ঝামেলা হয়েছে তখন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান তাদেরকে জেরা করতে শুরু করে।
তখন লিটন আক্কাসকে কল দিয়ে ফোন পকেটে রেখে দেন। বিষয়টি ওসি দেখে ফেললে তাদের পকেটে কি আছে বের করতে বলেন। ওই সময় শফিকুলের শরীর তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার একটি মেশিন উদ্ধার করা হয়। এতে শফিকুল ক্ষিপ্ত হন এবং হঠাৎ করেই ওই মেশিন দিয়ে ওসির ওপর আক্রমণ চালান। এতে তার মুখের খানিকটা অংশ জখম হয়। পরে পুলিশ শফিকুল, তার অপর সহযোগী লিটন ও আক্কাসকে আটক করে।
পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে শফিকুলের সিডিএমএস যাচাই করে দেখা গেছে তার নামে মারামারির একটি মামলা রয়েছে। তিনজনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।