বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপা লিগেও জায়গা হয়নি ইউনাইটেডের

বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপা লিগেও জায়গা হয়নি ইউনাইটেডের

স্পোর্টস ডেস্ক

ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নানান সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটড। যদি, কিন্তু, তবে’তে ঝুলে ছিল রেড ডেভিলদের চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বের টিকিট। শেষ পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে কিংসলে কোম্যানের করা গোলে ১-০ ব্যবধানে বায়ার্ন জিতে নিয়েছে ম্যাচটি। আর তাতেই গ্রুপ এ’তে চতুর্থ হয়ে শেষ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটড।

গ্রুপ পর্ব শেষে ৬ ম্যাচে পাঁচটি জয় আর এক ড্র’তে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে শেষদিন পর্যন্ত গ্রুপের লড়াই জমিয়ে রাখা এফসি কোপেনহেগেন ১-০ গোলে গালাতাসারেকে হারিয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার আপ হয়ে নক আউট পর্বে। নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে তিনে থেকে ইউরোপা লিগে নেমে গেছে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারে। আর ৬ ম্যাচে ৪টিতেই হেরে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতি টানলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

বুন্দেস লিগায় আগের ম্যাচেই ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া বায়ার্ন মিউনিখ ওল্ড ট্রাফোর্ডে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকে। শুরু থেকে বল ধরে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে তারা। ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত দলটি। সতীর্থের ছোট পাস ছয় গজ বক্সের বাইরে পেয়ে যান মুসিয়ালা। শটও নেন তিনি, তবে ডিফেন্ডার ডিয়োগো ডালোত পা বাড়িয়ে রুখে দেন। চার মিনিট পর আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট হয় বায়ার্নের, এই দফায় কাছ থেকে কোমানের ক্রস গোলমুখে ফাঁকায় পেয়েও ঠিকঠাক বলে পা লাগাতে পারেননি লেরয় সানে।

বিরতির পর ইউনাইটেডের আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ে। ৪৯তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। চার মিনিট পর আবারও সুযোগ আসে তার সামনে, এবারও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ৭০তম মিনিটে ইউনাইটেডের আশা আরও ফিকে হয়ে যায় কোমানের গোলে। পাসিং ফুটবলে শাণানো আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ওয়ান-টাচ পাসে ভেতরে বল বাড়ান হ্যারি কেইন। আর অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কোমান।

অন্যদিকে সমীরকণে ছিল বায়ার্নকে হারাতে পারলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটডের নক আউট পর্বে যেতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের আরেক ম্যাচের দিকে। কোপেনহেগেন ও গালাতাসারের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলেই কেবল পরের পর্বে যেতে পারবে ইউনাইটেড। তবে বায়ার্নের কাছে গোল হজমের পরে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল কোপেনহেগেন। শেষ পর্যন্তও তাতে পরিবর্তন আসেনি।

আর এই দুই স্কোরই শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে দল দুটি ম্যাচই শেষ হয়। তাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময়ে পড়ল ইউনাইটেড। এর আগে এতটা খারাপ অবস্থা কখনও হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এর আগে তাদের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল ২০০৫-০৬ মৌসুমে; সেবার ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিল তারা, গোল করেছিল মাত্র দুই ম্যাচে।

এবার অবশ্য পাঁচ ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছে দলটি। কিন্তু তার চেয়ে গোল হজমও করেছে বেশি। ৬ ম্যাচে তারা ১২ গোল দেওয়ার বিপরীতে হজম করেছে ১৫টি।

এদিকে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান আগেই নিশ্চিত হওয়ায় শেষ ম্যাচে দলে অনেক পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল কোচ। আগের ম্যাচের দলে আটটি পরিবর্তন আনার প্রভাব পড়ে তাদের পারফরম্যান্সে। পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে তারপরও প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু পরে গোল হজম করে ১-১ ড্র করেছে তারা।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফরাসি ক্লাব লঁস। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে আর্সেনালের পয়েন্ট ১৩। ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে আইন্দহোভেন। আর ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে লঁস। ইউরোপা লিগে খেলবে তারা। আর তলানিতে সেভিয়ার পয়েন্ট ২।

সারাবাংলা/এসএস

Scroll to Top