ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের দাবি ফেরদৌসের – DesheBideshe

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের দাবি ফেরদৌসের – DesheBideshe

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি – সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের দাবি করছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ‌‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় উল্লেখ করে ফেরদৌস বলেন, ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক পণ্য বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ দাঁড়াবে।

রোববার সংসদের বৈঠকে ৭১ বিধিতে জরুরি জন-গুরুত্বসম্পন্ন নোটিশে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

নোটিশে ফেরদৌস বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে প্রতিদিন অতিমাত্রায় প্লাস্টিক নির্ভর হতে হচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারসহ অন্যান্য অনেক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার জন্য এখন প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার ও লিফলেটের ব্যবহার রেড়েছে বহুগুণ। প্রয়োজন শেষে ফেলে দেওয়া এ সব প্লাস্টিক বছরের পর বছর মাটির নিচে থাকলেও পচে না। এ ধরনের ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মাথা ব্যাথার কারণ। বর্তমানে প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ছাপানো কাগজকে কুয়াশা ও বৃষ্টির পানি থেকে অক্ষত রাখতে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে লেমিনেশন করে তা প্রদর্শনের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা গেছে। প্রয়োজন ফুরালে এসকল প্লাস্টিকের শেষ ঠিকানা হবে রাজধানীর ড্রেন ও নালা-নর্দমা। এতে একদিকে বাড়বে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে দেখা দিবে পরিবেশের ভয়ংকর ক্ষতি।

জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ঢাকা শহরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। ঢাকা শহরে হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক। আগামী দুই বছরে এর ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। বিকল্প থাকা সত্ত্বেও সহজলভ্য হওয়ায় সিঙ্গেল ইউজস প্লাস্টিক গ্রহণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী তার বক্তব্যে সংসদে সিঙ্গেল ইউজস প্লাস্টিক বন্ধের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এটা সম্ভব হলে দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক বন্ধের বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। ১০০দিনের যে কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে- সেখানেও দূষণের বিষয়টি নিয়ে আসা হয়েছে। এসব পণ্য তৈরির সাথে সম্পৃক্তদের ওপর দায় দিতে বিধি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রথম রাতেই বিড়াল মারার আহ্বান জাপার চুন্নুর

রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে আইন লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হয় বলে সংসদে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। রোববার সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। মুজিবুল হক চুন্নু একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের দুটো কাজের একই অনিয়মে দুই কর্মকর্তাকে আলাদা আলাদা শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে কত বড় অনিয়ম করা হয়েছে। টাকা বাজেয়াপ্ত না করে সমন্বয় করা আইনের চরম লঙ্ঘন। একজন কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য টাকাটা বাজেয়াপ্ত না করে সমস্ত আইন-কানুন লঙ্গন করে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পার পাওয়া যায় না। একজন সরকারি কর্মকর্তা ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিল, তাকে বাঁচানোর জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো।

তিনি বলেন, নতুন পূর্ত মন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা নিশ্চিত দুর্নীতি। মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, একজন সচিব কি করে এতবড় দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে, মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এ কাজটা করেছেন। তিনি একটি ঘটনায় বেতন এক গ্রেড কমিয়েছেন, আরেক ঘটনায় প্রকৌশলীকে পদাবনতি করেছেন। এ খাতিরটা কেন? এ সরকারের আমলে এত বড় অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে? আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা কি হয়? তাই মন্ত্রীকে বলবো বিড়াল প্রথম রাতেই মারেন। এখনই ব্যবস্থা নেন।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Scroll to Top