ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশের হলদওয়ানিতে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়ার পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ৪ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারের এই সহিংসতার জেরে হলদওয়ানিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্কুল বন্ধ করার পাশাপাশি সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হলদওয়ানির ভানভুলপুরা এলাকার ওই মাদরাসা ও মসজিদকে অবৈধ স্থাপনা ঘোষণা করে আদালতের আদেশের পরে পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল মাদ্রাসা এবং সংলগ্ন মসজিদ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা সিং বলেন, মসজিদ এবং মাদ্রাসা ভেঙে ফেলার কারণ, সেগুলো সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছিল এবং ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে নিবন্ধিত ছিল না। অভিযানটি কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের দিকে লক্ষ্য করা হয়নি।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় জনতা কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়, যা সহিংসতায় রূপ নেয়। কর্তৃপক্ষ মসজিদের প্রশাসনকে এই বিষয়ে আগে থেকেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল।
তবে স্থানীয়রা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, আদালত মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সেসময় জনতার তীব্র প্রতিরোধ ও সংঘর্ষে পঞ্চাশের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়। প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, পৌরসভার কর্মী এবং সাংবাদিকরাও সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন।