পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা চলছে। ভোটগণনার ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে কারচুপির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন কয়েকটি দলের নেতারা। এখন পর্যন্ত ১৪৬টি আসনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছে ৬০টি আসনে। নওয়াজ শরীফের মুসলীম লীগের প্রার্থীরা ৪৩টি আসনে, বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারির পিপিপি প্রার্থীরা ৩৭টি আসনে জয় পেয়েছেন।
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের আলোচিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করছে নির্বাচন কমিশন। ফলাফল প্রকাশে ধীরগতির কারণে কারচুপি আশঙ্কা করছে দলগুলো। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফলাফল আসতে শুরু করে। এতেই ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ আনেন বিভিন্ন দলের নেতারা। ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য সাময়িক দেরি হচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নিজের দু’টি আসন নিয়েই বিপদে রয়েছেন। নিজের একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তিনি, অন্য আসনেও রয়েছে হারের শঙ্কা। অন্যদিকে পিটিআই’র বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর দাবি করেছেন, তার দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। ফলাফলে কারচুপি না হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে পিটিআই।
নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ বলছে, কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তারা। পিটিআই এবং নওয়াজ শরীফের মুসলীম লীগের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি-পিপিপি।