জাকির হাসান: সাভারবাসীর উন্নয়নের জন্য আমি সবসময় নিয়োজিত উল্লেখ করে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেছেন, বিপদে-আপদে আমার এলাকাবাসীর পাশে থেকেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে কতিপয় কিছু মহল আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি দলের স্বার্থে আমার জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব।
বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে- আমি তাদের বলবো, আমার সমালোচনা না করে জনগণের জন্য কাজ করুন। আমাকে আমার জনগণ ভালোবেসে এখানে বসিয়েছে। জনগণই আমার শক্তি।
রাজীব বলেন, যতদিন বাঁচবো সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব। বিএনপি আমলে আমারে পুলিশের পিকাপ ভ্যানের পিছনে বেঁধে পুরা সাভার ঘুরিয়েছে, রক্তে সারা শরীর ভিজে গেছে, তারপরও আমি আওয়ামী-লীগ ছাড়ি নাই। সেই সময় বিএনপির নাজমুল হুদা বিএনপিতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু এত নির্যাতন সহ্য করেছি তবুও দল থেকে বের হয়ে যাইনি। শেখ হাসিনার ডাকে প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছি। আমি দলের স্বার্থে আমার জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার সাভারবাসীর জন্য আমার অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমার এলাকাবাসী তার সুফল পাবে।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, তরুণ নেতাদের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রেখেছেন রাজীব। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ মানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মজবুত একটি ঘাঁটি। এখানে আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াতকে কোনো প্রকার বিধ্বংসী কার্যক্রম করতে দেয়া হয়নি কখনো।
মঞ্জুরুল আলম রাজীব একাধারে সাভার কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, সাভার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ৭৫ পরবর্তী সময়কালীন এক জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা। তিনি সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন।
৭৫ এর কালো অধ্যায়ের পর যখন গুটিকয়েক লোক মুজিব হত্যার বিচার চেয়েছিলেন তখন মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও তার পরিবারের সবাই সেই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন। তার পিতা প্রবীণ সাংবাদিক ওয়াসিলউদ্দিন ছিলেন একজন কলমযোদ্ধা। ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিকামি বাঙালির পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় গান পাউডার দিয়ে তার বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনারা।